ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে `সেক্সটিং’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৯৬ বার

প্রযুক্তির সম্প্রসারণ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার করছে তরুণ প্রজন্ম। প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও তৈরি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সুবিধার কারণে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে ‘সেক্সটিং।’ সেক্সটিং বলতে বুঝায় যৌন উদ্দীপক ছবি, ভিডিও এবং লেখা কাউকে পাঠানো বা গ্রহণ করা।

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে চলছে সেক্সটিং। বিষয়টি এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে টিনএজদের মধ্যে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ বিভাগ এর কুফল বর্ণনা করে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সন্তানদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ দিচ্ছে।

জাতীয় অপরাধ বিভাগ এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের লিঙ্কোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে যৌথভাবে এই বিষয়ে কাজ করছে।

যুক্তরাজ্যে ও সুইডেনের ৫১ জন তরুণ-তরুণীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ সময় তারা সঙ্গীদের চাপ পড়ে এই ধরনের বার্তা পাঠায়।

যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক স্কুলের এক সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষা সমন্বয়কারী কমিটির সদস্য কেট বার্লস বলেন, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ‘সেক্সটিং’ যে একটি অপরাধ এ বিষয়ে একেবারেই অসেচতন। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এসব কাজ অবৈধ।

এ বছরের শুরুর দিকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের যৌন উদ্দীপক ছবি স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টির দিকে নজর যায় যুক্তরাজ্যে পুলিশের।

পুলিশের ডাটাবেইজে কিশোর ছেলেটির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় সমবয়সী এক মেয়ের কাছে যৌন উদ্দীপক ছবি পাঠানোর দায়ে। মেয়েটিও ছবিটি শেয়ার করে। আর তা এক পুলিশ কর্মকর্তা নজরে এলে ওই ছেলের স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।

এ ধরনের আচরণকে পুলিশ অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলেও পুলিশ ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বা গ্রেফতার করেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে `সেক্সটিং’

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

প্রযুক্তির সম্প্রসারণ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার করছে তরুণ প্রজন্ম। প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও তৈরি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সুবিধার কারণে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে ‘সেক্সটিং।’ সেক্সটিং বলতে বুঝায় যৌন উদ্দীপক ছবি, ভিডিও এবং লেখা কাউকে পাঠানো বা গ্রহণ করা।

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে চলছে সেক্সটিং। বিষয়টি এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে টিনএজদের মধ্যে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ বিভাগ এর কুফল বর্ণনা করে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সন্তানদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ দিচ্ছে।

জাতীয় অপরাধ বিভাগ এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের লিঙ্কোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে যৌথভাবে এই বিষয়ে কাজ করছে।

যুক্তরাজ্যে ও সুইডেনের ৫১ জন তরুণ-তরুণীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ সময় তারা সঙ্গীদের চাপ পড়ে এই ধরনের বার্তা পাঠায়।

যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক স্কুলের এক সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষা সমন্বয়কারী কমিটির সদস্য কেট বার্লস বলেন, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ‘সেক্সটিং’ যে একটি অপরাধ এ বিষয়ে একেবারেই অসেচতন। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এসব কাজ অবৈধ।

এ বছরের শুরুর দিকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের যৌন উদ্দীপক ছবি স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টির দিকে নজর যায় যুক্তরাজ্যে পুলিশের।

পুলিশের ডাটাবেইজে কিশোর ছেলেটির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় সমবয়সী এক মেয়ের কাছে যৌন উদ্দীপক ছবি পাঠানোর দায়ে। মেয়েটিও ছবিটি শেয়ার করে। আর তা এক পুলিশ কর্মকর্তা নজরে এলে ওই ছেলের স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।

এ ধরনের আচরণকে পুলিশ অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলেও পুলিশ ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বা গ্রেফতার করেনি।